[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

শার্শায় সিজার এর অস্ত্র পাচারের সময় শিশুর মাথা কেটে মৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধিঃশার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল জোহরা নামে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে সিজার করতে যেয়ে শিশু হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার বিকালে উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের হাসানের স্ত্রীকে ওই ক্লিনিকে সিজার অপারেশন করা হয়। অপারেশন এর সময় অসতর্কতা বশত প্রসুতির গর্ভের শিশু সন্তানের মাথায় অস্ত্র পাচারের সময় মাথা কেটে যায়। এবং সে মারা যায়।

এ ঘটনায় হাসানের বড় ভাই মাসুদুর রহমান বলেন, জোহরা ক্লিনিকের ডাক্তার হাবিবুর রহমান একজন সরকারী ডাক্তার । সে সাতক্ষীরা হাসপাতালে চাকুরী করেন। তাড়া হুড়ার মধ্যে সে এই অপারেশন করে শিশুটির মাথায় অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলে । এতে ওই শিশুটি মারা যায়। এ ব্যাপারে ডাক্তার হাবিব ও তার স্ত্রী আমাদের টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা রাজী হয়নি।

নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায় ডাক্তার হাবিবুর রহমান ওই দিন ১১ টি সিজার করে। যার ফলে একাই অপারেশন এর দায়িত্ব নেওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সুত্রটি দাবি করে বলে জোহরা ক্লিনিকে ৪০ টির মত সীট রয়েছে। তবে অনুমোদন নেওয়া আছে মাত্র ২০ টির। এছাড়া সে এবং তার স্ত্রী নাজমুন নাহার রানী দুই জনই সরকারী হাসপাতালে চাকুরী করেন। এরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নিজ ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিব বনে গেছে। এর আগে গত দুই মাস আগে ওই ক্লিনিকে একটি সিজার করার সময় একই ঘটনা ঘটে। পরে সেই যাত্রা টাকা পয়সার বিনিময় রেহাই পায় বলে সুত্র জানায়।

এ ব্যপারে ডাক্তার হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন গত রোববার একটি বাচ্চা তার মাতৃগর্ভে মারা যায়। তবে অস্ত্র পাচার এর সময় মারা গেছে বলে যে অপপ্রচার চালানো হ্েচ্ছ এটা সম্পুর্ন মিথ্যা কথা। তার হাসপাতালের বেড অনুমোদন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ২০ সিটের অনুমোদন এর কথা শিকার করেন।
হাবিবুর রহমান এর স্ত্রী নাজমুন নাহার এর কাছে কতটা বেড আছে রোগিদের জন্য জানতে চাইলে তিনি রাগাম্বিত হয়ে বলেন আমি কি গুনে রেখেছি।

স্থানীয়রা জানায় নাজমুন নাহার রানী বাগআঁচড়া সরকারী হেলথ হাসপাতালে চাকুরী করেন। তিনি হাসপাতালে কোন সময় ডিউটি করেন না। তার একজন সহকারী দাতের ডাক্তার মতিয়ার রহমান সেই সব কিছু ম্যানেজ করেন। এমনকি হাজিরা খাতাও হাসপাতালে এনে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে যান। স্থানীয় সচেতন মহল বলেন ৪০ টি বেড থাকলে কমপক্ষে ৪ জন ডাক্তার থাকার কথা । সেখানে ডাক্তার আছে মাত্র দুই জন। তাও তারা স্বামী স্ত্রী। এবং দুইজনই সরকারী হাসপাতালে চাকুরী করেন।

এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুঃ আতাউর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এরকম কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসে নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *